প্রস্তুত ৪ কোয়ারেন্টাইন সেন্টার

টেকনাফে ৫২ জন প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনে

নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ ◑

করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পেতে টেকনাফে প্রশাসনিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ২২৩ জন বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের মধ্যে ৫২ জনের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা গেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল। এর মধ্যে ৯ জনের সময় অতিবাহিত হওয়ায় তারা রিলিজ পেয়েছেন।

অন্যদিকে এখনো বিদেশ হতে এসে কোয়ারেন্টাইনে না আসাদের খুঁজে বের করতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদসহ প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরেও প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়েছে যাতে বিহিত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

এদিকে টেকনাফে করোনা আক্রান্ত হলে যাতে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সেই লক্ষে ১০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন ওর্য়াড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি আরো ৪টি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সেগুলো হচ্ছে টেকনাফ পৌরসভার এলাকার ‘আলো রিসোর্ট’, ‘সী কোরাল’, মিল্কি রির্সোট’ ও মেরিন সিটি হাসপাতাল।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল জানান, টেকনাফে যৌথ বাহিনী জনসমাগমরোধে টহল জোরদার করেছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনও জনসচেতনা বৃদ্ধিতে প্রচারপত্র বিলি ও মাইকিং অব্যাহত রেখেছে। তাছাড়া বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণে কার্যক্রম জোরদার করেছে।

তিনি আরো বলেন, এখনো করোনা আক্রান্ত কোন রোগী টেকনাফ এলাকায় পাওয়া যায় নি। তারপরও আইসোলেশন বেড, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রশাসনিক এ ধরনের তৎপরতায় স্থানীয়রা দারুনভাবে সাড়া দিয়েছে। এভাবে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী যদি সবকিছু প্রতিপালন করা যায় তাহলে স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা ইনশাআল্লাহ মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হতে মুক্ত থাকবো।

এসব কার্যক্রম তদারকরির জন্য টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম শনিবার সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারসমূহ পর্যবেক্ষণ করেন।

এ প্রসঙ্গে ইউএন ও মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, সকলের সার্বিক সহযোগিতায় টেকনাফে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। তিনি এ কাজে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।